সিবিএন ডেস্ক ;

দেশের সকল সিটি বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া আদায়ের বিষয়টি সুরাহা ও ছাত্রছাত্রী-পরিবহন শ্রমিকদের বসা, হাতাহাতি, মারামারি ঘটনা নিষ্পত্তির জন্য সরকারি উদ্যোগে বিআরটিএর কর্তৃক বাসের হাফ ভাড়ার তালিকা প্রণয়ন করে বাসে বাসে সাঁটানো দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ সমিতি।

আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে ২০২১ সালে ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি, ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি নেতৃবৃন্দ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীর সিটি সার্ভিসের বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া মেনে নিলে বিআরটিএ শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া আদায়ের প্রজ্ঞাপন জারি করেন। কিন্তু বিআরটিএ প্রণীত পৃথকভাবে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া অনুযায়ী বাস ভাড়ার সরকারি তালিকা না থাকায় বাসে বাসে ভাড়া আদায়কারী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতাহাতি, মারামারি, গাড়ি ভাঙচুর, কোন কোন বাসে হাফভাড়া না নেওয়ায় একই কোম্পানির একাধিক বাস শিক্ষার্থীরা সড়কে চলমান অবস্থায় আটকে রাখার ঘটনা প্রায়শই ঘটেছে। কোথাও কোথাও শিক্ষার্থীদের বাস থেকে ফেলে দেওয়া। শিক্ষার্থীর ইউনিফর্ম দেখলে বাসে না নেওয়ার মতো ঘটনার মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থী পরিবহনের ভাড়া আদায়কারী শ্রমিকদের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের সিটি সার্ভিসের বাসে হাফ ভাড়া নেওয়ার ঘোষণা দেন বাস মালিক সমিতির নেতারা। অথচ বাস মালিকেরা দৈনিক ইজারা চুক্তিতে বাসের চালক বা ভাড়া আদায়কারী শ্রমিকের হাতে বাসটি প্রতিদিন নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার চুক্তিতে লিজ দেন। শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিয়ে বাসে বাসে কিছু ভাড়া আদায় কমে যায়। যার পুরো দায় দৈনিক চুক্তিতে বাসটি পরিচালনাকারী ঐ বাসের চালক বা সহকারীর কাঁধে উঠে। এই কারণে বাসের চালক শ্রমিকের সাথে ছাত্রদের মুখোমুখি হতে হয়।

এমন পরিস্থিতিতে বাস ভাড়া নির্ধারণের শর্ত অনুযায়ী মালিকের মুনাফায় বাস চালানো নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থীদের জন্য বাসে বাসে বিআরটিএর নেতৃত্বে সরকারিভাবে পৃথক বাস ভাড়ার তালিকা সাঁটানো দাবি জানান সংগঠনটি।